বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতের বর্তমান অবস্থা
UNCTAD ১৩০টি দেশের ই-কমার্স খাতসমূহ নিরীক্ষান্তে B2C E-commerce Index প্রস্তুত করেছে। দেখা যায় যে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা একটি দেশের ই-কমার্স খাতের অবস্থান নির্ণয়ের প্রধান সূচক হিসেবে কাজ করে। ২০১৫ সালে ITU কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধির হার ১৪%; শুধুমাত্র এই একটি প্রতিবেদনের তথ্যের সাথে বিটিআরসি’র সংখ্যার (৩৯%) গরমিল পরিলক্ষিত হয়। উল্লেখ্য, ITU-এর প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে।
দেশে ই-কমার্স কর্মকান্ড দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি মাসে নতুন নতুন সাইটের আগমন ঘটছে। যদিও এ খাতের বর্তমান অবস্থা এবং ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে খুব একটা গবেষণা পরিচালিত হয়নি; তবে Kaymu.com.bd সম্প্রতি প্রকাশিত ‘A Report on e-commerce Trends in Bangladesh’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ই-কমার্স খাত ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। Kaymu-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ই-কমার্স খাতে লেনদেন প্রতিবছর কমপক্ষে ১০% বৃদ্ধি পাবে।
ই-কমার্সের ক্রেতারা মূলত শহরকেন্দ্রিক; তন্মধ্যে ৮০% ক্রেতার ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের। এদের মধ্যে ৩৫% ঢাকার, ৩৯% চট্টগ্রামের এবং ১৫% গাজীপুরের অধিবাসী। অন্য দু’টি শহর হলো ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ এবং আরেকটি মেট্রোপলিটান শহর সিলেট। ৭৫% ই-কমার্স ব্যবহারকারীর বয়স ১৮-৩৪-এর মধ্যে।
বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতের বিকাশের চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সুনির্দিষ্ট কতিপয় চ্যালেঞ্জ নিম্নে তুলে ধরা হলো-
- ই-কমার্স সহায়ক উপযুক্ত জাতীয় নীতিমালা;
- ই-কমার্স উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ;
- আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা;
- ধীরগতিসম্পন্ন ও ব্যয়বহুল ইন্টারনেট;
- ডেলিভারি চ্যানেল;
- ইন্টার-অপারেবল অবকাঠামো;
- দক্ষ ই-কমার্স প্রযুক্তি সহায়ক প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও মানবসম্পদের অভাব;
- আস্থাশীল ই-কমার্স পরিবেশের অভাব;
- অনলাইনে কেনাকাটায় জনসাধারণের অভ্যস্ততার অভাব ও ভীতি;
- ভোক্তা অসন্তোষ নিরসনের সুনির্দিষ্ট মেকানিজমের অভাব;
- ই-কমার্স খাতে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানে অনীহা;
- ই-কমার্স খাতের বিকাশে কোনো প্রণোদনা প্যাকেজ না থাকা;
- পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাব ইত্যাদি।
সোর্স- ইক্যাব.নেট